ক্রেস্টের সোনা জালিয়াতিতে জড়িতদের শাস্তির দাবি

মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু ও সংগঠনের সম্মাননা ক্রেস্টে সোনা জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি। সংগঠনটি এ দাবিতে গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিরা অংশ নেন।
কর্মসূচিতে চলচ্চিত্র পরিচালক এম এ মতিন বলেন, ২০১২ সালে সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য ৩৩৮টি ক্রেস্ট তৈরি করে। প্রতিটি সম্মাননা ক্রেস্টে এক ভরি সোনা ও ৩০ ভরি রুপা থাকার কথা। সেখানে ১২ আনাই নেই! এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। অনতিবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান আবুল আজাদ, সাংবাদিক শামীম চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবুল কাশেম প্রমুখ অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য সরকার ২০১২ সালে ৩৩৮টি ক্রেস্ট তৈরি করে। পরে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) জায়গায় ক্রেস্টে স্বর্ণ পাওয়া গেছে মাত্র ২ দশমিক ৩৬৩ গ্রাম। আর ৩০ ভরি রুপার বদলে ৩৫১ গ্রাম পিতল, তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ৬ এপ্রিল প্রথম আলোতে ‘বিদেশি বন্ধু ও সংগঠনকে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা, ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে!’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়।