তিস্তার পানি বাড়া-কমা নিচু মানের নাটক: ফখরুল

বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন বিদ্যুত্ পরিস্থিতি নিয়ে আজ শনিবার আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ফোকাস বাংলা
বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন বিদ্যুত্ পরিস্থিতি নিয়ে আজ শনিবার আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ফোকাস বাংলা

দলের লংমার্চের সময় হঠাত্ তিস্তার পানির প্রবাহ বাড়া ও পরে আবার কমে যাওয়াকে ‘নিচু মানের নাটক’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন। বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ ‘বর্তমান বিদ্যুত্ পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে।
এর আগে এটিকে নিজেদের প্রাথমিক সাফল্য হিসেবে দাবি করেছিলেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁদের তিস্তা অভিমুখে লংমার্চের সময় হঠাত্ শোনা গেল তিস্তায় পানি এসেছে। আবার চলে আসার সময় জানা গেল, পানি চলে গেছে। এটি তামাশা ছাড়া কিছু নয়।

পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ২২-২৩ এপ্রিল তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে লংমার্চ করে বিএনপি। ২২ এপ্রিল লংমার্চ শুরু হওয়ার পর হঠাত্ করে তিস্তায় বাংলাদেশ অংশে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল দাবি করেছিলেন, এটি তাঁদের লংমার্চের প্রাথমিক সাফল্য। এর পরদিনই অবশ্য আবার পানির প্রবাহ কমে যায়।

হতাশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হল-মার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারের কথা মানুষ ভুলে গেছে। যারা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছে, বিস্ময়ে অবাক হয়ে যাই, মানুষ এত সহনশীল হলো কীভাবে! কেন জানি না, মানুষ সব মুখ বুজে সহ্য করছে।’
ফখরুল বলেন, ‘বক্তব্য রাখতে ইচ্ছা করে না। একই কথা বারবার বলতে ইচ্ছা করে না। কার কাছে বলব? বলে কী পাব?’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, লুটপাট আওয়ামী লীগের পুরোনো অভ্যাস। কুইক রেন্টালের নামে আওয়ামী লীগের লোকজন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। কেন বিদ্যুতের করিডর দেওয়া হচ্ছে, কেন দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র হচ্ছে—এসব বিষয় সবাইকে ভেবে দেখার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ন হ আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।