দাবদাহে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে

দাবদাহে কুড়িগ্রামের উলিপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। কাজে যেতে না পারায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদ ওঠায় নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে সকালের পালায় স্কুলের কার্যক্রম চালানোর জন্য আবেদন করেছেন। গতকাল শনিবার সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
উমনন্দ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল হক জানান, গ্রামের স্কুলগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এবং অধিকাংশ বিদ্যালয় টিনশেড হওয়ায় সূর্যের তাপে টিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে থাকতে পারছে না। এক সপ্তাহ ধরে তাঁর বিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থীর অর্ধেকই বিদ্যালয়ে আসছে না।
কালুডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে সকালের পালায় স্কুলের কার্যক্রম চালানোর জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তবকপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল মালেক, মামুন মিয়া, কাজলী জানায়, প্রচণ্ড গরমের কারণে তাদের বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবক আরিফুর রহমান জানান, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে তিনি তাঁর সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। বড়রা যেখানে তাপ সহ্য করতে পারছে না, সেখানে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অসুস্থ করতে চাই না।’
এ ছাড়া দাবদাহের কারণে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। গরমের কারণে কাজে যেতে না পারায় তাঁরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ঠেলাগাড়ি চালক জয়নাল আবেদীন জানান, ‘প্রচণ্ড তাপে পিচ রাস্তা আগুনের মতো গরম হয়ে যায়। খালি পায়ে হাঁটলে পায়ে ফোস্কা পড়ে। সে কারণে ভাড়া খাটা বন্ধ করে দিয়েছি। ধার-দেনা করে সংসার চলছে।’