চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার দুই শতাধিক ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছৈলাগাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সাত দিন ধরে রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহীনখালী গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধের বাইরে গহীনখালী খালের পাড় থেকে গাছগুলো কাটানো হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে এ গাছগুলো কাটানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কাটা গাছ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, গহীনখালী খালের পাড়ে প্রায় ১০০ কাটা গাছ এবং গাছের  গোড়া পড়ে আছে। জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (রাঙ্গাবালী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

এ প্রসঙ্গে বন বিভাগের গলাচিপা-রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘গহীনখালীর ওই অঞ্চলে বন বিভাগের সৃজিত কোনো বাগান নেই। এ ছাড়া ওই সব এলাকায় বন বিভাগ বিচ্ছিন্নভাবেও কোনো গাছ রোপণ করেনি। তাই সেখানকার গাছ কাটার কোনো খবর আমরা পাইনি। চেয়ারম্যান মান্নান হাওলাদার বন বিভাগের কাছে গহীনখালী খালের পাড়ের গাছ কাটানোর অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, ‘ওই সব গাছ আমার বাড়ির কাছের এবং আমি লাগিয়েছি। আমার লাগানো গাছ আমি কেটে নিচ্ছি।’ সরকারি জমির গাছ সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়া কেটে নেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানিয়েই গাছগুলো কাটাচ্ছি। তবে বন বিভাগ থেকে লিখিত কোনো অনুমতি নিইনি।’

পাউবো পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিউল্লাহ বলেন, এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। কেউ বেআইনিভাবে গাছ কেটে থাকলে বন বিভাগই ব্যবস্থা নেবে।