দাউদকান্দিতে ১১ স্কুলভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা

স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় এভাবে গাছের নিচে গাদাগাদি করে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবিটি রোববার মুদাফর্দ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে  তোলা। ছবি: আবদুর রহমান ঢালী, দাউদকান্দি
স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় এভাবে গাছের নিচে গাদাগাদি করে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবিটি রোববার মুদাফর্দ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তোলা। ছবি: আবদুর রহমান ঢালী, দাউদকান্দি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ায় ও ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করে এসব ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দাউদকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস সরেজমিনে উপজেলার মুদাফর্দ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওলানপাড়া প্রকাশ চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নছরদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালিখিল বেকীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর সতান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসনাবাদকান্দরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারপাড়া পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের পলেস্তারা খসে পড়া ও দেয়ালে ফাটল দেখতে পান। পরে সাময়িকভাবে ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করেন। সেখানে পাঠদান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন তিনি।
২৭ এপ্রিল উপজেলার মুদাফর্দ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের বিম ও কলামে ফাটল রয়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে আছে। ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষকেরা পাশের বাড়ির গাছতলায় পাঠদান করছেন।

নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মুদাফর্দ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় এবং পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে পড়ায় সেখানে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন সরকার বলেন, ভবনের বিম ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কারণে পাশের বাড়ির  দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে পাঠদান চলছে। এতে সংকুলান না হওয়ায় গাছতলায়ও ক্লাস নিতে হচ্ছে।

নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেগুলোতে আপাতত পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

স্থানীয় সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সব পরিত্যক্ত ভবন ও অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ পর্যায়ক্রমে পাকা করা হবে।