চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের প্রহার

শাহবাগ থানার সামনে গতকাল ছাত্রদল কর্মী আখ্যা দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা  প্রথম আলো
শাহবাগ থানার সামনে গতকাল ছাত্রদল কর্মী আখ্যা দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘শিবির’ করার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগের জহুরুল হক হলের কর্মীরা। এ সময় তাঁদের বাধা দিলে কয়েকজন শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ছাড়া ছাত্রদল করার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছেন ছাত্রলীগের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সোমবার পৃথক স্থানে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, কলা ভবনের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের তিন শিক্ষার্থীকে। তাঁরা হলেন মাসুম বিল্লাহ, ইমরান আলী ও আহমদুল্লাহ সিদ্দিকী।
বিভাগ সূত্র জানায়, বিভাগের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্মরণিকা প্রকাশ করা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। জানতে পেরে বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে বিভাগের এক পক্ষের শিক্ষার্থী ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের তিনজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক তা থামানোর চেষ্টা করলে তাঁরাও লাঞ্ছিত হন। আহতরা বিভিন্ন কক্ষে আশ্রয় নেন। প্রক্টর ছাত্রলীগ কর্মীদের নিবৃত্ত করে আহতদের হাসপাতালে পাঠান।

ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বলেন, ওরা শিবির করেন এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনেক আগেই হল থেকে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

তবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এটা ঘটেছে। পরে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক লাঞ্ছনার কথা স্বীকার করেন তিনি।

এর আগে বেলা একটার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘ছাত্রদল’ করার অভিযোগে ছাত্রলীগের মুহসীন হল শাখার কর্মীরা শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি দৌড়ে শাহবাগ থানায় আশ্রয় নেন। হামলার ছবি তোলার সময় বাংলার চোখ-এর ফটোসাংবাদিক মুকিত হাসানকে লাঞ্ছিত করা হয়।

রাসেল দাবি করেন, তিনি হলের সভাপতি মাকসুদ রানার সঙ্গে ছাত্রলীগ করতেন। তাই সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছেন।