রংপুর-বরিশালে ১৫ শতাংশ ধান উৎপাদন বেড়েছে

বৃহত্তর রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে গত দুই বছরে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ ধান উৎপাদন বেড়েছে৷ দুটি উন্নত জাতের ধান ও চারটি ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) বিজ্ঞানীরা৷ গতকাল মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়৷
সমন্বিত কৃষি উৎপাদনশীলতা প্রকল্পের (আইএপিপি) উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস উইং) তফাজ্জল হোসেন৷ আইএপিপির উপপরিচালক হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) শাহজাহান কবীর৷
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খোন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলেন, বৈশ্বিক কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা কার্যক্রমের অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের তদারকিতে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে আইএপিপি বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ আকস্মিক বন্যা, খরা ও ঠান্ডাপীড়িত বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের চারটি জেলা (রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী) এবং জোয়ার-ভাটা ও লবণাক্ততাকবলিত বরিশাল অঞ্চলের চারটি জেলা (বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালী) ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য৷ প্রকল্পের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত দুটি ধানের জাত ও চারটি ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে৷
এ ছাড়া ৮ দশমিক ৬ টন ব্রিডার বীজ, ২৫৬টি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও ৭৬২টি অংশগ্রহণমূলক ফলিত গবেষণা পরীক্ষণ কৃষকের মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ উন্নয়ন প্রভাব মূল্যায়ন ও মনিটরিং সংস্থার (ডিআইএমই) হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্প শুরুর সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে এখন পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় ধানের উৎপাদন শতকরা ১২-১৫ ভাগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে৷