কেউ মামলা করছে না

হাটের ইজারার টাকা পরিশোধ করতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা পাঁচ লাখ টাকার ডিডি জালিয়াতি করেছেন৷ পৌর প্রশাসন ও ব্যাংক কতৃ‌র্পক্ষ ঘটনার সত্যতা নিিশ্চত করলেও কেউই মামলা করছে না৷
বিরল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ বিরল পৌর হাটের ইজারা নিলাম হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আট লাখ ৫২ হাজার টাকায় হাটের ডাক নেন। শর্ত হিসেবে ওই দিন রূপালী ব্যাংক বিরল শাখা থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট জমা দেন। সূত্র জানায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাটের ইজারা গ্রহণকারী মোশাররফকে বাকি অর্থ পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এরপর তিনি রূপালী ব্যাংক বিরল উপজেলা শাখা থেকে মোট পাঁচ লাখ টাকার দুটি ডিডি পৌরসভার অর্থ শাখায় জমা দেন। একটি ডিডি তিন লাখ ও অন্যটি দুই লাখ টাকার।
বিরল পৌরসভার সচিব এস এম সাঈদুর রহমান বলেন, ২১ এপ্রিল মোশাররফের ডিডি দুটি সোনালী ব্যাংক বিরল শাখায় পৌরসভার হিসাব নম্বরে জমা দেওয়া হয়। ডিডি দুটি রূপালী ব্যাংকের হওয়ায় ওই দিনই সোনালী ব্যাংক ডিডি দুটিকে রূপালী ব্যাংক বিরল শাখায় পাঠায়।
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড বিরল শাখার ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান বলেন, ডিডি দুটি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেন, দুই লাখ টাকার ডিডিটি আসলে ২০০ এবং তিন লাখ টাকার ডিডিটি ৩০০ টাকার। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ডিডি দুটি ডিজঅনার করে চিঠিসহ সোনালী ব্যাংকে ফেরত পাঠানো হয়।
সোনালী ব্যাংকের বিরল শাখার ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ডিডির অর্থ জালিয়াতির বিষয়ে রূপালী ব্যাংক থেকে পাঠানো চিঠিটি ২২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকে আসে। ওই দিনই তাঁরা জালিয়াতির চিঠিসহ ডিডি দুটিকে পৌরসভার বরাবরে ফেরত পাঠান৷
বিরল পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ্ আল খায়রুম প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াতির ঘটনাটি ব্যাংকে ঘটেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তার পরও তিনি ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
সোনালী ও রূপালী ব্যাংক বিরল শাখার ব্যবস্থাপকেরা বলেন, পৌরসভাকে ডিডি দিয়েছেন ইজারাদার। জালিয়াতি করেছেন পৌরসভার সঙ্গে। ব্যাংকের সঙ্গে করেননি। জালিয়াতির মামলা করতে হলে পৌরসভাকেই করতে হবে৷
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি।