পঞ্চগড়ে বিএনপিতে কোন্দল, আহ্বায়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ হাসান প্রধান এবং কমিটির সদস্য এম এ মজিদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে৷ গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়৷
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিরুল ইসলাম৷ তিনি বলেন, গত ১০ এপ্রিল ঢাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এ হাসান প্রধানকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু তিনি আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যদের না জানিয়ে ষড়যন্ত্র করে বাড়িতে বসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকারের পরামর্শে এবং নির্দেশনায় পৌরসভা ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন, যা দলের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী৷
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ড্যাবের সভাপতি আবু আহসান ফিরোজ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, জাসাস রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুছ সেখ, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুস শহীদ উপস্থিত ছিলেন৷ এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে ৫০-৬০ জন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী এ হাসান প্রধানের বাসা ও কক্ষ এবং এম এ মজিদের বাসায় হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়৷
এ ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ শহরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ।
হামলার জন্য এ হাসান প্রধান কাউকে দায়ী না করে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেন। তবে এম এ মজিদ বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করছে তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ হামলায় কারা জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হেয় করার জন্যই এ সাজানো নাটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার নিন্দা জানাই৷’
এ হাসান প্রধান বলেন, যা কিছু করা হয়েছে, গঠনতন্ত্র মেনে সবার মতামত নিয়েই করা হয়েছে। কারও পরামর্শ বা নির্দেশনা নেই। নির্দেশনা আছে দেশনেত্রী ও কেন্দ্রের। সেই নির্দেশনার আলোকে কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘জেলা আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব পৌর ও উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা। এখানে আমার কোনো নির্দেশনা বা পরামর্শ দেওয়ার কিছু নেই। দলকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে নেতা-কর্মীরা।’
পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, হামলার ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনো মামলা করেনি। তবে শহরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।