হবিগঞ্জে আড়াই হাজার গাছ কেটে ফেলল বন বিভাগ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের দুই পাশের প্রায় আড়াই হাজার গাছ কাটা হয়েছে। বন বিভাগের দািব, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রাজস্ব পাওয়ার জন্য গাছগুলো নিলামে বিিক্র করা হয়েছে । তবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা বলছেন, এতে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে৷
এলাকার অনেকে জানান, রাস্তার দুই পাশের এসব গাছের ছায়ায় যাতায়াত করতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু গত কয়দিন ধরে এ গাছ কাটার দৃশ্য তাঁদের হতবাক করেছে। একের পর এক গাছ কেটে মাটির ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি বন বিভাগ ১৮টি লটের আড়াই হাজার গাছ নামমাত্র দরে নিলামে বিক্রি করায় এ গাছ কাটা হচ্ছে।
জেলা বন বিভাগ ও এলাকাবাসী জানান, ২০০১-২০০২ ও ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে ওই মহাসড়কের চুনারুঘাটের চান্দপুর বাজার থেকে শায়েস্থাগঞ্জ এবং চুনারুঘাট থেকে সাটিয়াজুরী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির তিন হাজার ১৭১টি গাছ লাগানো হয়। ২৫টি লটে ভাগ করা হয় এ গাছগুলোকে। কিন্তু সম্প্রতি বন বিভাগ ১৮টি লটের ওই আড়াই হাজার গাছ ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৩ টাকায় নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে এ নিলাম পাওয়া লোকজন ওই গাছগুলো কাটতে শুরু করেন৷
বাপার হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল জানান, নামমাত্র মূল্যে বন বিভাগ অপরিপক্ব গাছ কেটে পরিবেশের ওপর আঘাত হেনেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সময় নিয়ে এ গাছ কাটতে পারত । কিন্তু তারা বািণজ্য ভাবনা থেকে পরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে।
চুনারুঘাট সদরের চাকরিজীবী রুবেল আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, বন বিভাগের সঙ্গে অঁাতাত করে কয়েক কোটি টাকার গাছ মাত্র ৪৫ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন মহালদাররা।
বন বিভাগ হবিগঞ্জ রেঞ্জ-১-এর কর্মকর্তা ফিরোজ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, এ সড়কের ২৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যে গাছ রয়েছে, সেগুলোকে ২৫টি লটে বিভক্ত করা হয়। তার মধ্যে ১৮টি লট নিলাম হয়েছে। অবশিষ্ট সাত লট নিলামের প্রক্রিয়াধীন আছে।
ফিরোজ আলম চৌধুর আরও জানান, বাগানের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রাজস্ব পেতে গাছগুলো নিলামে বিিক্র করা হয়েছে । এতে রাজস্ব এসেছে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার ওপরে। তিনি জানান একই এলাকায় আবারও গাছ লাগানো হবে।