চার জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ত্রিশাল উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন৷ একই দিন সিলেটে এক প্রবাসী, টাঙ্গাইলে এক শিশু ও মৌলভীবাজারে এক নারী নিহত হয়েছেন৷
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ময়মনসিংহ: সকাল সাতটার দিকে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে আল আমিন (১৯) ও মো. শফিকুল (২৫) তারাকান্দা থেকে ময়মনসিংহ শহরে যাচ্ছিলেন। উপজেলার মধুপুর এলাকায় পেঁৗছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাক ইজিবাইকটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা নিহত হন৷ আল আমিন মধুপুর গ্রামের ও শফিকুল মোকামিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এ ছাড়া দুপুরে ত্রিশালের নওধার এলাকায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা সুতিয়া নদীর ওপর একটি সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মো. রফিক (৪০) নিহত হন। পরে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম (৭০) মারা যান। রফিক উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ও সিরাজুল হরিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সিলেট: সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের পারাইরচক এলাকায় যাত্রীবাহী বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়৷ এতে ওই মোটরসাইকেলের আরোহী সানাউর রহমান (৪৫) গুরুতর আহত হন৷ পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাড়ি জেলার গোলাপগঞ্জের হিলালপুর গ্রামে। তিনি ফ্রান্সপ্রবাসী ছিলেন।
মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মোতালেব জানান, ওই বাস জব্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল: সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি ট্রাক মধুপুর যাচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে ট্রাকটি কালিহাতীর ডোনাইল এলাকায় পেঁৗছালে এটি হনুফা খাতুন (৭) নামের এক শিশুকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। সে কালিহাতীর চামরা গ্রামের হুরমুজ আলীর মেয়ে।
মৌলভীবাজার: সদর উপজেলার শাহবন্দর এলাকায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ঝর্ণা রানি চন্দ (৩৫) নামের এক নারী নিহত ও আরও দুজন আহত হয়েছেন৷ ঝর্ণা ওই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। ঝর্ণা সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু সালেক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝর্ণার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।