'বিদ্রোহী' প্রার্থীর পোস্টার পোড়ালেন আ.লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকেরা একই দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার পুড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাঁকে ধাওয়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে৷
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তাঁর কর্মীরা কালুখালী শহরের গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয় এলাকায় পোস্টার সাঁটাতে যান৷ এ সময় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলামের ১৪-১৫ জন কর্মী সেখানে এসে তাঁর ৩০০ পোস্টার পুড়িয়ে দেন৷
নূরে আলম সিদ্দিকী আরও অভিযোগ করেন, তিনি তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আলিউজ্জামান চৌধুরী ওরফে টিটোর বািড় থেকে বিকেল সোয়া চারটার দিকে মাইক্রোবাস নিয়ে পাশের ইউনিয়নে গণসংযোগ চালাতে যাচ্ছিলেন৷ কালুখালী শহর অতিক্রম করার পর সাইফুল ইসলামের ভাই সানু ১০-১২টি মোটরসাইকেলে সহযোগীদের নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন৷ তিনি পরে রাজবাড়ী শহরে চলে আসেন৷ কাজী সাইফুল ইসলামের নির্বাচন সমন্বয়কারী শফিউর মোর্শেদ দাবি করেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই৷’
ইউএনও নাছির উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে কাজী সাইফুল ইসলামকে সতর্ক করা হয়েছে৷
আচরণভঙ্গের অভিযোগকারী নিজেও আচরণ ভাঙলেন: বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুর রাজ্জাক খান রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদ জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন৷ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন৷ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বাধা ও ভোটকেন্দ্র দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ করেন৷
অথচ নির্বাচনী আচরণবিধি ৮(৭) অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ‘উপজেলার এলাকাভুক্ত স্থাপনাসমূহের দেয়ালে বা বেড়া বা যানবাহনে কোনো ধরনের পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাইতে পারিবেন না৷’ আচরণবিধির ২১-এর ২ ধারা অনুযায়ী, ‘মাইক্রোফোন বা শব্দের বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর দুইটার পূর্বে এবং রাত আট ঘটিকার পরে করা যাইবে না৷’
এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যরা সকাল আটটার দিকে মাইক বের করে, এ জন্য আমিও বের করেছি৷