কালীগঞ্জে মেয়েকে গলা কেটে হত্যা, খুলনা-নড়াইলে দুই খুন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় গতকাল রোববার এক মা তাঁর সাত মাস বয়সী মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ গত শনিবার নড়াইল শহরে এক গৃহবধূ এবং খুলনার ফুলতলা উপজেলায় এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন৷
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নিহত শিশুর নাম নুসরাত জাহান৷ সে উপজেলার আড়পাড়ার নাজমুল ইসলামের মেয়ে৷ নড়াইলে নিহত গৃহবধূ ভওয়াখালী এলাকার
শুকুর সরদারের স্ত্রী হালিমা বেগম (৪৫)৷ আর ফুলতলায় খুন হয়েছেন উপজেলার ডাকুরী গ্রামের আবদুল কুদ্দুস (৫০)৷ আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রিতনিধির পাঠানো খবর
ঝিনাইদহ: নুসরাতের বাবা নাজমুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ার পর থেকে তাঁর স্ত্রী বৈশাখী বেগমের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। ওই সময়ই চিকিৎসক সন্তান হওয়ার পর তাঁকে মায়ের (তাঁর স্ত্রী) কাছে না রাখার জন্য পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শ অনুযায়ী মেয়েকে দাদির কাছে রাখা হয়। গতকাল সকালে দাদি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে মেয়েকে তার মায়ের কাছে দেওয়া হয়। এই সুযোগে মা তাঁর মেয়েকে গোসলখানায় নিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর বাইরে এসে সবাইকে বলেন, তিনি তাঁর মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বৈশাখী বেগম মানসিক রোগী। তাঁকে আটক করা হয়েছে।
নড়াইল: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নড়াইল কার্যালয়ের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর কবির নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী গ্রামে আসেন৷ ওই দিন একই গ্রামের ছলেমান সরদারের ছেলে সেলিম সরদার তাঁকে কুপিয়ে ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়। ওই ছিনতাইয়ের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হালিমা বেগম পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য দেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে হালিমার সঙ্গে সেলিমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেলিম তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খুলনা: গত শনিবার বিকেলে ফুলতলার ডাকুরী গ্রামের আবদুল কুদ্দুস তাঁর চাচাতো ভাই রফিকুলের ঘের পাহারা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। গতকাল সকালে ঘেরের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়৷ পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস ফকির জানান, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷