মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) এক সদস্যকে হত্যা ও সীমান্তে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার তাঁকে তলব করা হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিউ মিন্ট থানকে ডেকে এনে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তে গুলিবর্ষণ বন্ধ এবং নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।’

গত বুধবার সকালে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিজিবির সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় সীমান্তের ওপার থেকে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ শুরু করেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। ওই গোলাগুলির পর থেকে বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন।

মিজানুরের নিহত হওয়ার তথ্য মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) দেশটির স্থানীয় পত্রিকাগুলোকে নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর লাশ বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেয়নি মিয়ানমার।
বিজিবির ওই সদস্যকে আটক ও সীমান্তে নির্বিচারে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মিউ মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

ওই দিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মুস্তাফা কামাল মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তাঁর দপ্তরে ডেকে পাঠান। তিনি অবিলম্বে বিজিবির নায়েক মো. মিজানুর রহমানের মুক্তির দাবি জানান। তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের তত্পরতা রোধে বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থান এ সময় সচিবকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি মিয়ানমারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। মিয়ানমার থেকে জবাব পাওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।