আ.লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতাসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগের সাত নেতা-কর্মীর ২০টি ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়৷
গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের দুটি গ্রামের বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়৷ আওয়ামী লীগের অপর পক্ষের লোকজন ওই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজৈরের টেকেরহাট বন্দরে বল্লভদী ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি আবুল বাশার (৪৫) ও বেল্লাল মোল্লা (২৩) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷
নিহত আবুল বাশার সালথার বল্লভদী গ্রামের প্রয়াত জলিল মুন্সির ছেলে৷ তিনি স্বরমঙ্গল-টেকেরহাট রাশিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী উপাধ্যক্ষ ছিলেন৷ আর বেল্লাল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা সদরের রায়েকদা গ্রামের কাউসার মোল্লার ছেলে৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আধিপত্য নিয়ে বল্লভদীতে দুটি পক্ষের বিরোধ চলছে৷ এক অংশের নেতৃত্ব দেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেলোয়ার কাজী৷ অপর অংশের নেতৃত্ব দেন বল্লভদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাইফুর রহমান ওরফে শাহীন৷ নিহত বাশার ওলামা দলের নেতা হলেও স্থানীয়ভাবে তিনি দেলোয়ারকে সমর্থন করতেন৷
সালথা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দেলোয়ারের সমর্থকেরা শনিবার রাত ১০টা থেকে বড় বল্লভদী ও রায়ের বল্লভদী গ্রামে সাইফুরের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা শুরু করেন৷ গতকাল ভোর পর্যন্ত তাঁরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কর্মী মতিয়ার মাতুব্বরের পাঁচটি করে, শাহেদ মুন্সি ও হাকিম মাতুব্বরের তিনটি করে, গঞ্জর মুন্সির দুটি ও আতিয়ার রহমানের একটি ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করেন৷ এ ছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস মাতুব্বরের একটি ঘরের মালামাল লুট করে অগ্নিসংযোগ করেন৷ ভোরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
দেলোয়ার অভিযোগ করেছেন, খন্দকার সাইফুর তাঁর সমর্থকদের নিয়ে টেকেরহাটে গিয়ে আবুল বাশারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন৷
অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুর রহমান বলেন, ‘টেকেরহাটে কে বা কারা ওই শিক্ষককে হত্যা করেছে, তা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে৷ এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমাদের পক্ষের কেউ জড়িত নন৷’
রাজৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, মৃতদেহে কোনো গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মহসিন মুন্সি (২৬) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে৷