রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিজিবি সদস্য মিজানুরের দাফন

৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক মিজানুর রহমান।
৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক মিজানুর রহমান।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে নিহত ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক মিজানুর রহমানের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আজ সোমবার বেলা একটার দিকে মিজানুরের লাশ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া মাঠে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ নেওয়া হয় মিজানুরের নিজ গ্রাম দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভেলানগরে। সেখানে পরিবারের সদস্যদের ১৫ মিনিটের জন্য লাশ দেখতে দেওয়া হয়। এ সময় মিজানুরের স্ত্রী শামীমা আক্তার, চার মেয়ে ও বৃদ্ধা মা রাবেয়া খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ঈদগাহ মাঠে। সেখানে জানাজার পরে বেলা দুইটার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। ভেলানগর পারিবারিক কবরস্থানে মিজানুরের লাশ দাফন করা হয়। এ সময় সেখানে বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল নয়টা ১০ মিনিটের দিকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে মিজানুরের জানাজা হয়। এতে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ নেন।

ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার মাস্টার (বিকিউএম) খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেছেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে মিজানুরের লাশবাহী হেলিকপ্টার তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বারের উদ্দেশে রওনা হয়।

গত ২৮ মে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যদের ওপর বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করে বিজিপি। এ ঘটনায় প্রাণ হারান বিজিবি সদস্য মিজানুর। তাঁর লাশ পড়ে ছিল মিয়ানমার অংশে।

৩০ মে মিজানুরের লাশ নিতে গেলে ফের অতর্কিতে গুলি ছুড়তে শুরু করেন বিজিপি সদস্যরা। পাল্টা জবাব দেন বিজিবির সদস্যরা। এরপর ওই দিন দুই পক্ষের মধ্যে আড়াই ঘণ্টা গুলিবিনিময় হয়। গত শনিবার শেষ পর্যন্ত মিয়ানমার বিজিবি সদস্য মিজানুরের লাশ ফেরত দেয়।

গতকাল রোববার দুপুরে পাইনছড়ি এলাকা থেকে নায়েক মিজানুর রহমানের মরদেহ বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়।