প্রতিবন্ধী হত্যা মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

বাগেরহাটের রামপালে প্রতিবন্ধী আবদুল খালেক শেখ হত্যা মামলার আসামি জাহিদ শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের জ্যেষ্ঠ হাকিম নুসরাত জাহানের আদালতে জাহিদকে হাজির করা হয়। এ সময় খালেক শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন জাহিদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের খাসকামরায় জবানবন্দি দেন জাহিদ শেখ। জবানবন্দিতে জাহিদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে খালেককে হত্যার পরিকল্পনা করছিলাম। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি দা তৈরি করে তাতে ধার দিই। গত ৩০ মে খালেক ভিক্ষা করে বাড়িতে ফিরে এলে আমি ওই ধারালো দা কোমরে গুঁজে নিয়ে খালেকের বাড়িতে যাই। প্রায় এক ঘণ্টা খালেকের সঙ্গে গল্প করি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে কোমরের দা বের করে খালেককে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করি। সব মিলিয়ে তাঁকে অন্তত ১৪টি কোপ দিয়ে পালিয়ে যাই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খালেককে আমি হত্যা করেছি।’ তবে কী নিয়ে শত্রুতা, তা তিনি বলেননি।
জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে পুলিশ জাহিদ শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
গত ৩০ মে রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্ন্যাসী গ্রামের প্রতিবন্ধী আবদুল খালেক শেখকে নিজ বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় এক দুর্বৃত্ত। নিহত খালেক পেশায় ভিক্ষুক ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. ইমারত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর নিহত খালেকের ভাই আলী আকবর হাওলাদার বাদী হয়ে জাহিদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর জাহিদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। গতকাল তাঁকে ঢাকার উত্তর বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।