বদরগঞ্জে কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী শিউলি রানীর (১৫) মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে৷ মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে শিউলি আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হলেও তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিউলি রানীর লাশ উদ্ধার করে৷
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শিউলি উপজেলার রাজারামপুর গোবরগাড়ী গ্রামের অতুল চন্দ্রের মেয়ে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়ে শোয়ার ঘরের চালের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অতুল চন্দ্র প্রতিবেশীদের জানান৷ এরপর রাতেই মেয়েকে তড়িঘড়ি করে সৎকারের আয়োজন করেন৷ কিন্তু এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে রাত ১২টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে গেলে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। পরে সংশ্লিষ্ট মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হক ঘটনাটি বদরগঞ্জ থানার ওসি জাহেদুর রহমান চৌধুরীকে জানান৷ জাহেদুর রহমান বলেন, মেয়েটির গলায় জখমের চিহ্ন আছে৷ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, অতুল চন্দ্র দ্বিতীয় বিয়ে করার পর শিউিলর মা বাড়ি ছেড়ে চলে যান৷ মেয়েটির সৎমা মারা গেলেও এক সৎভাই ও বোন ছিল৷ মেয়েটি বাবা ও ওই সৎ ভাইবোনের সঙ্গে থাকত৷ তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না৷
গতকাল আবার বাড়িতে ফিরে আসেন অতুল চন্দ্র৷ তিনি বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা বলায় আমার ছেলে ডালিম চন্দ্র শিউলিকে একটু বকাঝকা করে৷ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাত আটটার দিকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটা৷’ তড়িঘড়ি করে লাশ পোড়াতে চাওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘এটা না বুঝে করছিলাম।’
ডালিম চন্দ্র বলেন, ‘আমি ওকে বকি নাই৷ ও কেন আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না।’
শিউলির মা জোসনা রানী বলেন, ‘আমার মেয়েটা বড় দুঃখী ছিল। সে কীভাবে মরল, কেন মরল বুঝতে পারছি না।’