'বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের আগে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করুন'

পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি সহানুভূতি থাকলে রাঙামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের আগে পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন এবং শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাঙামাটি আউটার স্টেডিয়ামের আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনসংক্রান্ত বিষয়ে নাগরিক সমাজের মতবিনিময়’ সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় চাকমা সার্কেলপ্রধান রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় সরকারের প্রতি আদিবাসীদের যে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগের ওপর। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা দরকার, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা।’
শর্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে বলে উল্লেখ করে দেবাশীষ রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন, সিনেট ও সিন্ডিকেটে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের অবস্থান কী হবে। শিক্ষার্থী ভর্তি, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী কত শতাংশ পাবেন, সে ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা সভাপতি অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ানসহ আইজনজীবী, শিক্ষক, এবং নারী ও যুবসমাজের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।