ভারী যান চলে ১০ কিলোমিটার ঘুরে

টাঙ্গাইলের সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কের সখীপুর থেকে বড়চওনা বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পিচ ও ইট উঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে৷ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এখন এ পথের যানবাহনগুলো বিকল্প পথে চলাচলে বাধ্য হচ্ছে।
কিন্তু এসব বিকল্প পথ ভারী যান চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় এগুলোও নষ্ট হওয়ার পথে৷ এতে এই পথে পুরো সড়ক যোগাযোগব্যবস্থাই হুমকির মুখে পড়েছে৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সখীপুর থেকে বড়চওনা পর্যন্ত অংশে সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলোতে পানি জমে যেন ‘ছোটখাটো পুকুরে’ পরিণত হয়েছে৷ প্রতিদিন ওই সব খাদে কোনো না কোনো যানবাহন আটকা পড়ে৷ এ কারণে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন অতিরিক্ত ১০ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে৷ কিন্তু ভারী যান চলাচলের কারণে ওই বিকল্প রাস্তাও ভেঙে যাচ্ছে৷
কচুয়া বাজারের আক্কাছ আলী গত মঙ্গলবার (৩ জুন) বলেন, ‘সখীপুর থেকে সাগরদীঘি পর্যন্ত ব্যানগাড়িত (ভ্যানগাড়ি) কইরে যাওয়ার পতে গাতাগুলা (গর্তগুলো) আমি গুনছি। ১৫টা গাতা এক্কেবারে পাগারের (ছোট পুকুর) মতো৷ আরও গাতা তো আছেই৷ এহন গাড়িগুলান সখীপুর থাইকা পাশের মহান্দপুর হইয়া ১০ কিলোমিটার ঘুইরা বড়চওনা যাইতেছে৷ কিন্তু এই রাস্তাখান বড় গাড়ি চলনের মতো না৷ এহন এইডাও বাইঙ্গা যাইতেছে৷’
সখীপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক-ই-রাসেল বলেন, ‘দুই মাস ধরে সখীপুর থেকে সাগরদীঘি সড়কটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তায় প্রতিনিয়ত বাস-ট্রাক আটকা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে আমরা সভা ডেকে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’
সখীপুর আবাসিক মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা রহিজ উদ্দিন বলেন, ‘সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কটি অকেজো হওয়ায় এই কলেজের সামনে দিয়ে ভারী গাড়ি চলছে। ছোট এই রাস্তায় এত বড় বড় গাড়ি চলায় দেখবেন অল্পদিনেই এ রাস্তাও অকেজো হয়ে পড়বে।’
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মানস মণ্ডল বলেন, ‘সখীপুর থেকে কুতুবপুর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তার জন্য চার কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে৷ ঠিকাদার কাজও শুরু করেছেন। শিগগিরই খাদগুলোতে খোয়া-বালু ফেলে সাময়িকভাবে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তখন আর বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।’