মুন্সিগঞ্জে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকা থেকে গত শনিবার দিবাগত রাতে রোজিনা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ একই দিন শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এ কে এস কে উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় শান্তা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামী৷
সদর থানার পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার রহিম মোল্লার ছেলে জহির মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান মিয়ার মেয়ে রোজিনার বিয়ে হয়৷ জহির কাতারপ্রবাসী ছিলেন৷ রোজিনা দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন৷ এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়৷
গৃহবধূ শান্তার পরিবার জানায়, শ্রীনগরের ষোলঘর এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে শান্তা আক্তার ও একই এলাকার মিয়ার ছেলে রাজীব প্রায় পাঁচ মাস আগে পালিয়ে বিয়ে করেন৷ এর পর থেকেই নানা অজুহাতে শান্তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন রাজীব৷ এ অবস্থায় বিয়ের তিন মাস পরই তাঁরা আবার আলাদা থাকতে শুরু করেন৷ কিন্তু মাস খানেক আগে রাজীব আবার শান্তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান৷ কিন্তু গত শনিবার বিকেলে রাজীব ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে ষোলঘর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর লাশ ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা৷ পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায়৷
শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, গত শনিবার রাতেই শান্তার বাবা মেয়েটির স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রাতেই ননদ কল্পনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন৷