গাছচাপায় ও বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় গতকাল বুধবার সকালে ঝড়ে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বিপুল পরিমাণ আমগাছ। এ সময় গাছ চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
শিবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আসাদ উদ্দীন জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাত্র আধা ঘণ্টার ঝড়ে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর, খাসেরহাট, ছাত্রজিতপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ২৯০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। আবার কিছু কাঁচা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিনোদপুরে গাছ চাপা পড়ে মারা গেছে কাউসার আলী (১২) নামের এক কিশোর। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। একই উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন দুজন। এঁদের একজনের পরিচয় মেলেনি৷ অন্যজন হলো চককীর্তি গ্রামের নিয়তি রানী (১৭)।
গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার মামুন জানান, ১৫ থেকে ২০ মিনিটের ঝড়ে উপজেলার চৌডলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইসলামপুর, দিয়ারাপাড়া, সাহেবগ্রাম ও সন্তোষপুর গ্রামের কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সন্তোষপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে গেছে। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় সাতজন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে চৌডলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের এলাম বিশ্বাসের স্ত্রী নাজিরা (৩৫), জেলেপাড়ার চন্দন শাহর স্ত্রী নবিতা রানী ও বালুঠুঙ্গি গ্রামের সাকিরুলের ওপর আমগাছ ভেঙে পড়ে৷ তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী গতকাল বিকেলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ মেট্রিক টন চাল ও ২০ হাজার টাকা এবং গোমস্তাপুর উপজেলার জন্য দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এসব এলাকায় আরও ত্রাণ দেওয়া হবে।
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু: নাটোর প্রতিনিধি জানান, সকালে জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বিয়াস গ্রামে বজ্রপাতে কৃষক শফিকুল ইসলাম (৩৮) মারা গেছেন।
সলঙ্গায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু: নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ জানান, সকালে আটটার দিকে সলঙ্গা থানাধীন এরানদহ গ্রামের লাভলু মণ্ডলের ছেলে নাজমুল হাসান (১৩) পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলে যাচ্ছিল৷ পথে সে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়৷ এখানে চিকিৎসকেরা নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন।