সাপাহারে জামায়াতের ৩১ নেতা-কর্মী কারাগারে

নওগাঁর সাপাহারে পুলিশ-জামায়াতে ইসলামীর সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গত মঙ্গলবার হাজিরা দিতে আসেন উপজেলা জামায়াতের ৩৩ নেতা-কর্মী৷ আদালত উপজেলা জামায়াতের আমির মো. এরফান আলী, সেক্রেটাির মাওলানা সাদেকুল ইসলামসহ ৩১ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠান৷
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আব্দুল মালেকের আদালতে জামায়াতের ওই ৩৩ জন নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করতে আসেন৷ এ সময় তাঁদের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়৷ কিন্তু আদালত বার্ধক্যজনিত কারণে দুজনের জামিন মঞ্জুর এবং বািক ৩১ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন মো. এরফান আলী, মাওলানা সাদেকুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান, মাওলানা আবদুল লতিফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়াির জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে সাপাহারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দলের নেতা-কর্মীরা। েস সময় সাপাহার থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ওই মিছিলে বাধা দেয়৷ পরে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেন৷ এতে ওবাইদুলের হাত ভেঙে যায় এবং হামলায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন রেজা বাদী হয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির, সেক্রেটারিসহ ৪৯ জনকে আসািম করে থানায় একটি মামলা করেন।
সাপাহার থানার ওসি মো. নূর ইসলাম জানান, দীর্ঘ ১৫ মাস পর গত মঙ্গলবার ওই মামলায় জামিন নিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামায়াতের ওই ৩৩ নেতা-কর্মী। পরে আদালত ওই ৩১ জনকে কারাগারে পাঠান।