তামাইয়ের পাঁচ কারখানাকে জরিমানা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের পঁাচটি সুতা প্রক্রিয়াজাত কারখানার মালিকদের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জলাশয়, নলকূপ, ভূগর্ভস্থ পানি ও পরিবেশ দূষিত করার অপরাধে তাঁদের এ শাস্তি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর৷ একই সঙ্গে দ্রুত বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করে কারখানা পরিচালনা করার জন্য তাঁদের এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. আলমগীর তাঁর কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ৩ জুন প্রথম আলোতে ‘কারখানার বর্জ্যে দুর্বিষহ জীবন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে তামাই গ্রামের ছয়টি সুতা প্রক্রিয়াকরণ কারখানার মালিককে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়৷
গতকাল শুনানিতে ছয়টি কারখানার মালিকের প্রতিনিধিরা অংশ নেন৷ শুনানি শেষে বর্জ্য শোধনাগার না থাকা পাঁচটি কারখানার প্রত্যেক মালিককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়৷ এগুলো হচ্ছে মেসার্স মুন্সি ব্রাদার্স মার্চরাইজ অ্যান্ড প্রসেস মিল, মেসার্স এসকে মার্চরাইজ মিল, মেসার্স নিপা মার্চরাইজ অ্যান্ড প্রসেস মিল, মেসার্স বিজলী মার্চরাইজ মিল ও মেসার্স তুহিন মার্চরাইজ মিল। তাঁদের জরিমানার টাকা আগামী রোববারের মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।