ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ, দীঘিনালায় গ্রেপ্তার ১

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বড় মেরুং এলাকায় গত বুধবার মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ ধর্ষণের ভিডিওচিত্রও ধারণ করা হয়েছে৷
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ইমন হোসেন নামের একজনকে আটকের পর মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন৷ তার কাছ থেকে ভিডিওচিত্র ধারণ করা মুঠোফোনটি জব্দ করা হয়েছে৷ তবে তার দুই সহযোগী পালিয়ে গেছে৷ এ ঘটনায় দীঘিনালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাপি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে৷
পুলিশ ও মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিয়ে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরছিল৷ এ সময় ইমন হোসেন, ইসমাইল হোসেন ও ফারুক হোসেন ছাত্রীটিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়৷ এরপর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে এবং মুঠোফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করে৷ পরে ছাত্রীটি কোনোমতে বাঁধন খুলে বাড়ি ফিরে তার মাকে ঘটনাটি জানায়৷ পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন৷ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ইমনকে আটকের পর মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেন৷ এ সময় অন্য দুজন পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনায় ছাত্রীটির বড় বোন বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন৷ ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা িনশ্চিত করেছেন৷