নেতাকে বহিষ্কার নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব

ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতাকে বহিষ্কার করায় সংগঠনটির বিবদমান দুটি পক্ষ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার ওই নেতাকে মারধর করা হয়েছে৷
সংগঠন-সংশ্লিষ্টদের কাছে জানা গেছে, কলেজ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ আলীর নেতৃত্বাধীন একটি সংঘবদ্ধ পক্ষ কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশ এলাকায় ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত৷ ওই নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে৷ এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ মে জাবেদ আলীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকেও তা জানানো হয়৷ এ ঘটনার পর থেকে জাবেদ আলীর নেতৃত্বে একটি পক্ষ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে৷ পরে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জাবেদ আলীকে অন্য একটি পক্ষ ক্যাম্পাসে বেদম মারধর করে৷ তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
জাবেদের পক্ষ নেওয়া কলেজ কমিটির সহসভাপতি শাহ আলম বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল৷ এরই জের ধরে জাবেদকে মারধর করা হয়৷
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার জাবেদ আলী বলেন, ‘আমরা কলেজ ক্যাম্পাসের পোস্ট অফিসের পাশে কয়েকজন গল্প করছিলাম৷ এ সময় ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী হামলা করে আমাকে বেদম মারপিট করে৷’
সংগঠনের সভাপতি রাফিউর রহমান বলেন, জাবেদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নন৷ তিনি (জাবেদ) যাঁদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, তাঁরাই তাঁকে মারধর করেছেন৷
সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁর (জাবেদ) বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে৷ এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়৷’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফসরুল হাসান বলেন, জাবেদের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে তা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে৷ কলেজে সৃষ্ট ঘটনায় বর্তমান ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়৷ এ ব্যাপারে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, কলেজে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে৷