বরফ আর দামি মাছেও ফরমালিন

মাছে ফরমালিন
মাছে ফরমালিন

শুধু বড় মাছের পচন রোধ করতেই ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে, এমন ধারণাই এত দিন ছিল৷ কিন্তু দেখা গেছে, বড় মাছ তো বটেই, ছোট মাছেও ফরমালিন দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ মাছ তাজা রাখতে যে বরফ দেওয়া হচ্ছে, তাতেও থাকছে ফরমালিন৷ তবে তা মাছের আঁশ ও ত্বক ভেদ করে ভেতরে যেতে পারে না৷
শুরুতে মাছগুলো ফরমালডিহাইড দ্রবণ বা ফরমালিনে েডাবানো হয়। মাছ বিক্রেতারা কিছুক্ষণ পর পর মাছে যে পানি ছিটান, তাতেও থাকে ওই বিষাক্ত ফরমালিন৷ মাছে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার বন্ধ করতে এবং পচন রোধে এই রাসায়নিকটি কার্যকর ভূমিকা রাখে৷
আগে রুই-কাতলার মতো বড় মাছে ফরমালিন দেওয়া হতো। কিন্তু এখন কাচকি, মলা ও গুঁড়া চিংড়ি মাছ বাজারজাত করার আগে ফরমালিন দেওয়া হয়৷ এ ছাড়া উচ্চমূল্যের মাছের মধ্যে পাবদা, গুলশা ও ট্যাংরাতেও ফরমালিন পাওয়া গেছে৷
তবে মাছে বেশি মাত্রার ফরমালিন ব্যবহৃত হলেও তা মাছের কলা বা টিস্যুতে জমতে পারে না৷ কারণ, মাছের দেহে প্রবেশের আগেই তা রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফরমিক অ্যাসিড, পিউরিনস, থাইমিডিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত হয়৷
০.৫ – ৫.০ পিপিএম
ঘনত্বের ফরমালিন মিশ্রিত পানি মাছে দেওয়া হয়৷
১–২ ঘণ্টা
পানিতে মাছ ভিজিয়ে রাখার পর ফরমালিনের ঘনত্ব নিরাপদ মাত্রার নিচে (০.০০ থেকে .০১৮ পিপিএম) নেমে আসে৷ এই মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়৷