খারাপ আবহাওয়ার দোহাই, আ.লীগের আলোচনা সভা হয়নি

সাজানো রয়েছে বিশাল মঞ্চ। উপস্থিত নেতারাও। বিশাল মিডিয়া সেন্টার। নিরাপত্তায় নিশ্চিত করতে আছে পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ। পাতা রয়েছে সারি সারি চেয়ার। অথচ দু-একজন ভবঘুরে ছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে কোনো কর্মীই আসেননি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের দৃশ্যটা ছিল এমন অভাবনীয়ই।

আজকের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর। আলোচনা সভাস্থলে কেউ না আসায় সাজেদা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেনি। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আলোচনা সভাস্থলে আসেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহানসহ প্রমুখ নেতা। কর্মীদের অপেক্ষায় নেতারা দীর্ঘ সময় মলিন বদনে মঞ্চে বসে থাকেন। একপর্যায়ে লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্য নেতারা মঞ্চ থেকে নেমে কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সভাস্থলে এসে সংশ্লিষ্ট নেতাদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন করেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি সভাস্থল ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে বাকি নেতারাও চলে যান। এরপর দর্শক ছাড়াই বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার থেকে আসা শিল্পীরা দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘লাগাতার কর্মসূচি পালন করার জন্য আমাদের পূর্বে কোনো প্রস্তুতি ছিল না। দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান নিজের মতো করে এই কর্মসূচির প্ল্যান করেছে। তিনি যুবলীগ, ছাত্রলীগ কিংবা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেননি। আমরা সবাই আগামীকাল নেত্রীর কর্মসূচিতে যাব।’
জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ এ জন্য কেউ আসেনি। আগামীকাল এখানেই প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ। কালকে আসার জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
এর আগে গতকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম দিনেও লোকসমাগম কম থাকায় সভাস্থলে আসেননি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।