দুই প্রকৌশলীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁরা হলেন সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১১টায় এই দুই প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের সিনিয়র উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত দল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর ভাই মজিবুর রহমান চৌধুরীকে (নিক্সন চৌধুরী) তলব করা হলেও তিনি আসেননি। ১৩ মে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সূত্র জানায়, এ নিয়ে নিক্সন চৌধুরীকে তৃতীয়বারের মতো এবং ওই দুই প্রকৌশলীকে দ্বিতীয়বারের মতো দুদকে তলব করা হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় আসামি করা হয় সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ এবং সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইলকে। তাঁদের মধ্যে মোশাররফ ও ফেরদাউস গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরা জামিনে রয়েছেন। রিয়াজ আহমেদ দুদকের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।