রাতের আঁধারে আসছে রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এখন রাতের আঁধারে বাংলাদেশে ঢুকছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। দিনে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও নাফ নদীতে কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকায় রোহিঙ্গারা রাতেই অনুপ্রবেশ করছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম ইউনুছ বাঙ্গালী জানান, বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা রাতে বাংলাদেশে ঢুকে এলাকার ভাড়াবাসা ও লোকজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। উপজেলার সদর আশপাশের গ্রামের ভাড়াবাসায় দিন দিন রোহিঙ্গা বসতি বাড়ছে। সেখানে অভিযান চালানো হলে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পাওয়া যাবে।
বিজিবি সূত্র জানায়, উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া, সাবরাং, জালিয়াপাড়া, নাইট্যংপাড়া, হ্নীলার জাদিমুরা, লেদা, চৌধুরীপাড়া, হোয়াব্রাং, হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল ও উনছিপ্রুসহ একাধিক সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশকালে বিজিবির জওয়ানরা চলতি বছরের ছয় মাসে এক হাজার ৫৫৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কাজি হারুন অর রশিদ জানান, সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়ার সময় বহু রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। গত দুই মাসে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ১১ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, রোহিঙ্গারা এখন রাতের আঁধারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত কয়েক দিনে শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ করে ভাড়া বাসায় অবস্থানকালে ২৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।