তানভীরকে আটক রাখার বৈধতা নিয়ে রিট

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তানভীর রহমানকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি সে বিষয়ে সন্তুষ্টির জন্য আদালতে উপস্থিত করার জন্য আবেদন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিট আবেদনে তানভীরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আরজি জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার শুনানির পর বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন শুনানি সাত দিনের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রেখেছেন। এ ছাড়া তানভীরের জামিন আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নিয়মিত ফৌজদারি বেঞ্চে আবেদন নিয়ে যেতে বলেছেন। মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এ কথা জানিয়েছেন।
ফাওজিয়া করিম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, এফআইআরে তানভীরের নাম নেই। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। রিমান্ড থেকে ২০১২ সালে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই তিনি কারাগারে আছেন। অনেকবার জামিন আবেদন করা হলেও প্রতিবার তা খারিজ হয়।
আইনজীবীরা বলেছেন, তানভীর রহমান নিহত দম্পতির বন্ধু ছিলেন।
ফাওজিয়া করিম বলেন, একটা লোক দিনের পর দিন কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিনা বিচারে আটক থাকতে পারে না—এটাই যুক্তি।...যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযোগ আনতে পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তাঁর স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনজীবীরা জানান, সে বছরের ১ অক্টোবর তানভীর রহমানকে আটক করা হয়। ১০ অক্টোবর থেকে তিনি কারা হেফাজতে আছেন।