শাজাহানপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় গতকাল বুধবার স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার পর মাথা ন্যাড়া করে চুন লাগিয়ে নির্যাতন চালায় আবদুর রহিম (৩২) নামে এক পাষণ্ড স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিত তহমিনা আকতারকে (২৫) উদ্ধার করে। এ সময় রহিমকে না পেয়ে তহমিনার ননদ গোলশান আরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কাটাবাড়িয়া গ্রামে রহিমের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে আদমদীঘির চাপাহার গ্রামের মৃত তাইজুদ্দিনের মেয়ে তহমিনার বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই রহিম কারণে-অকারণে তহমিনার ওপর শারীরিক নির্যাতন করছিল। গতকাল সকাল সাতটার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে রহিমের ঝগড়া হয়। এ সময় রহিম স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। মারধরের একপর্যায়ে স্ত্রীর শাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। এ সময় প্রাণভয়ে দৌড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন তহমিনা। কিন্তু তাতেও রক্ষা মেলেনি তাঁর। সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে রহিম স্ত্রীকে বাইরে নিয়ে এসে তাঁর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। পরে সে স্ত্রীর মাথায় চুন লাগিয়ে ঘরে বন্দী করে রাখে। খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজমিলুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তহমিনাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তহমিনাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার আলামতসহ ননদ গুলশানা আরাকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই রহিম গা ঢাকা দেয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান, ঘটনাস্থলে এসআই তাজমিলুরকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। এরপর তহমিনাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে তহমিনা পুলিশকে জানিয়েছেন, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান। এ জন্য স্বামী দোষ করলেও তিনি মাফ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে থানা-পুলিশ করে সংসারে তিনি অশান্তি আর বাড়াতে চান না। এর পরও অভিভাবকদের ডাকা হয়েছে। স্ত্রী মামলা দিতে না চাইলে স্বামীর মুচলেকা নিয়ে আপস করে দেওয়া হবে।