নূর হোসেনকে কাল আবার আদালতে তোলা হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কাল সোমবার আবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে তোলা হবে। এদিকে গতকাল শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলী মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৭ জুলাই নূর হোসেনের সঙ্গী খান সুমন জামিনের আবেদন করেন। গত ১৪ জুলাই শুনানি শেষে মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম মধুমিতা রায় ওই আবেদন খারিজ করে দেন। শুনানি চলাকালে সরকারি আইনজীবী (পিপি) বিকাশ রঞ্জন দে জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি ছিল। আর তিনিসহ গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনই বাংলাদেশি সন্ত্রাসী।
গত ১৪ জুন রাতে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের অদূরে বাগুইহাটি থানার কৈখালী এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন থেকে নূর হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগী খান সুমন ও ওহিদুর জামান শামীমকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর কমিশনারেটের বিশেষ পুলিশ বাহিনী। তিনজনকে কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নূর হোসেন জামিনের কোনো আবেদন করেননি।
এদিকে গতকাল শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলী মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে।
আলী মোহাম্মদ নূর হোসেনের অবৈধ অর্থের হিসাব রাখতেন। এ ছাড়া, নূর হোসেনের মাদক, পরিবহন চাঁদাবাজি, ফুটপাতের চাঁদাবাজি ও খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন তিনি। আলী মোহাম্মদ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের আকবর আলীর ছেলে।
সাত খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আউলিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলী মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলী মোহাম্মদ নূর হোসেনের তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর একজন। সাত খুনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাঁর নাম উঠে এসেছে। আজ রোববার নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করে তাঁর রিমান্ড চাওয়া হবে।
ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল আরও বলেন, আলী মোহাম্মদ নূর হোসেনের বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। তাঁর নামে একটি অস্ত্রের লাইসেন্সও ছিল। আলী সাত খুনের ঘটনার পরপরই নূর হোসেনের সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান।