কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে তলব করেছেন হাইকোর্ট

কক্সবাজার সদর উপজেলার জিলনজা মৌজায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক রুহুল আমীনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আইনজীবী সূত্র জানায়, ১৯৩৫ সালের ১১ জুন জিলনজা মৌজার ১২৪ একরের বেশি জায়গাকে সংরক্ষিত বন হিসেবে এবং ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল তা প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেখানকার ৫১ একর জায়গা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ওই আবাসন প্রকল্পের নামে আইনবহির্ভূতভাবে পাহাড় কাটা ও বনভূমি উজাড়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিট করে। শুনানির পর ২০১১ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রায় দেন। আদালত সেখানকার পাহাড় বা পাহাড়ের কোনো অংশ না কাটতে, রক্ষিত বন এলাকায় কোনো রকম প্লট বরাদ্দ না দিতে ও বন ধ্বংস না করতে নির্দেশ দেন। ওই প্রকল্পে কাউকে বরাদ্দ দেওয়া হলে তা বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। নির্দেশনা অনুসরণ না করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে বেলার করা আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৪ মার্চ একই বেঞ্চ চার সচিবসহ ১২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দেন।
এরপর নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও প্রতিবেদন দাখিল না করায় গত রোববার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে নির্দেশনা চেয়ে বেলা আবেদন করে। গতকাল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইকবাল কবির।