স্কুলছাত্রকে জিম্মি করে অর্থ দাবি, গ্রেপ্তার ২

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার দুলাল হোসেন (১২) নামের এক স্কুলছাত্রকে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে পুলিশ মো. বিপ্লব খান (১৯) ও আবদুল করিম নামের দুই কিশোরকে আটক করেছে। পাশাপাশি দুলালকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দুলাল হাকিমপুর উপজেলার বৈগ্রামের নুর আলমের ছেলে। সে স্থানীয় বিশাপাড়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
গত শুক্রবার নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে এলাকাবাসী দুলালকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভাদুরিয়া বাজার থেকে বিপ্লব ও আবদুল করিমকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে তারা এ প্রতিনিধিকে বলে, ঈদের খরচ ও দামি জামাকাপড় কেনার জন্য তারা দুলালকে জিম্মি করে। তাদের বাড়ি বিরল থানার ধুকুরবাড়ি গ্রামে।
শুক্রবার রাতে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে স্কুলছাত্র দুলাল প্রথম আলোকে জানায়, বিপ্লব ও আবদুল করিম এক সপ্তাহ আগে তাদের এলাকায় ধান রোপণের জন্য আসে। এর আগেও তারা ওই গ্রামে এসেছিল। তখন থেকেই দুলালের সঙ্গে তাদের পরিচয় ছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিপ্লব ও আবদুল করিম নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া বাজারে দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে দুলালকে নিয়ে যায়। পরে তারা শাল্টিমুরাদপুর শালবাগান দেখানোর কথা বলে দুলালকে সেখানে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা দুলালের বাবার কাছে মুঠোফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দুলালের বাবা বিষয়টি তাঁর শ্যালক জাকির হোসেনকে জানান।
জাকির হোসেন জানান, তিনি মুঠোফোনে জিম্মিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। শুক্রবার দুপুরে জিম্মিকারীরা তাঁকে টাকা নিয়ে শাল্টিমুরাদপুর শালবাগানে আসতে বলে এবং বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে নিষেধ করে দেয়। জাকির হোসেন বিষয়টি ভাদুরিয়া বাজারে তাঁর পরিচিত ব্যক্তিদের এবং হাকিমপুর থানার পুলিশকে জানান। একপর্যায়ে জাকির হোসেনের পরিচিত ব্যক্তিরা ওই শালবাগানে গিয়ে দুলালকে খুঁজতে থাকেন। বিষয়টি টের পেয়ে বিপ্লব ও আবদুল করিম তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় ভাদুরিয়া বাজার থেকে বিপ্লব ও আবদুল করিমকে আটক করে।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে বিপ্লব ও করিম প্রথম অলোকে বলেন, ভালো পোশাক কেনার টাকা না থাকায় তারা এক সপ্তাহ আগে দুলালকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, আটক ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা হবে।