শিক্ষকসংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

শিক্ষকসংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রিসহ সাতটি বিভাগে শিক্ষকসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগগুলোতে এক মাস ধরে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক নেই। ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুন তিনজন অধ্যাপক ও ১০ জন সহকারী অধ্যাপক একযোগে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এ কারণে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, ফার্মাকোলজি, কার্ডিওলজি ও অ্যানেস্থেশিওলজি বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অ্যানাটমি বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপকের পদ থাকলেও বর্তমানে পদগুলোতে কেউ নেই। বিভাগের একজন কিউরেটর, চারজন প্রভাষক ও অন্য বিভাগ থেকে শিক্ষক এনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ফিজিওলজি ও বায়োকেমেস্ট্রি বিভাগে একজন করে অধ্যাপক ও দুজন করে সহযোগী অধ্যাপকের পদ থাকলেও পদগুলো বর্তমানে শূন্য রয়েছে।
মাক্রোবায়োলজি বিভাগে একজন অধ্যাপক ও দুজন সহকারী অধ্যাপকের পদে কেউ নেই।
ফার্মাকোলজি বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও একজন সহকারী অধ্যাপকের পদ থাকলেও একজন সহকারী অধ্যাপক ছাড়া বাকি পদ শূন্য রয়েছে।
কার্ডিওলজি বিভাগে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক ও দুজন সহকারী অধ্যাপক পদের বিপরীতে রয়েছেন একজন সহযোগী অধ্যাপক। এ ছাড়া অ্যানেস্থেশিওলজি বিভাগে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে কেউ নেই। শিক্ষকসংকটে গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, খুমেকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকসংকট চলছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাশাস্ত্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে তাঁদের সন্তানেরা ভালো চিকিৎসক হতে পারবে না। অবিলম্বে তাঁরা শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহবুব জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজে শুরু থেকেই শিক্ষকসংকট ছিল। বর্তমানে এটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে গত জুন মাসে একযোগে ১৩ জন শিক্ষক পদোন্নতি নিয়ে অন্যত্র বদলি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই শিক্ষকসংকটের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। শিগগিরই এ সংকট কেটে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।