যমুনায় নৌকাডুবিতে সাত লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর মিটুয়ানীতে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১০ জন।

নিহত লোকজনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া গ্রামের আঙ্গুরী খাতুন (১৮), রাশিদা খাতুন (১৬), নয়নতারা (৫০), দিলরুবা খাতুন ওরফে দিলু আকতার (৩৪) এবং তাঁর স্বামী মো. আকতার হোসেন (৫০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌহালী উপজেলার মিটুয়ানী ঘাট থেকে ৪০-৪৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা চর-সলিমাবাদ ঘাটে যাচ্ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর নদীগর্ভে বিলীন হওয়া একটি সেতুর সঙ্গে নৌকাটির ধাক্কা লাগে। নৌকাটি তখনই ডুবে যায়। এ সময় ২০-২৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা স্রোতে ভেসে যায়।

উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাহার সিদ্দিকী বলেন, নৌকাটি প্রবল স্রোতের কারণে সেতুর কংক্রিটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। এরপর তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। নৌকাটি পলিমাটির মধ্যে আটকে গেছে। উদ্ধারের কাজ চলছে।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুুল হামিদ জানান, সকালে এলাকাবাসী দুটি লাশ উদ্ধার করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আরও পাঁচটি লাশ উদ্ধার করে। প্রবল স্রোতের কারণে ডুবুরিরা নিচে যেতে পারছেন না।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চারজনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার তত্পরতা বেগবান করতে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলকে পাঠাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।