এতই উন্নয়ন করে থাকলে জনগণকে ভয় পান কেন?

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারকে অবিলম্বে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলেছেন। আলোচনায় বসতে না চাইলে আগে সংবিধানে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল, ঠিক নিজ উদ্যোগে সেভাবেই সরকারকে তা পুনর্বহাল করতে বলেছেন। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত ইফতারের আগে আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতা সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
সংক্ষিপ্ত ভাষণে খালেদা জিয়া দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষ এই সরকারের কাছ থেকে পরিত্রাণ চায়। সরকারের পরিবর্তন চায়। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মানুষ শান্তিতে নেই। দেশে এখন সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হবে। তিনি বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। এতই যদি উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে জনগণকে ভয় পান কেন? জনগণের ওপর আস্থা থাকলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার সাহস থাকা উচিত। তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকার মানুষের জন্য কিছু করেনি। তাই তারা মানুষকে ভয় পায়।
খালেদা জিয়া তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে দিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বক্তব্য দায়িত্বহীনতা ছাড়া কিছুই হয়।
বিএনপির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। মানুষ মেরেছিল। এখন তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানাতে লগি-বৈঠাসহ যেকোনো ধরনের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে।
ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের আগে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব আবদুস সালাম।