চাপ-পিটুনি, পরে বেতন

বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত তোবা গ্রুপের পোশাককর্মী ও শ্রমিক নেতাদের গতকাল উত্তর বাড্ডার কারখানার ভেতর থেকে জোর করে সরিয়ে দেয় পুলিশ। শ্রমিকেরা বাধা দিতে চাইলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। নির্বিচার লাঠিপেটার শিকার আতঙ্কিত শ্রমিকেরা ভয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসছেন। এই দৃশ্য বেলা দুইটার l হাসান রাজা
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত তোবা গ্রুপের পোশাককর্মী ও শ্রমিক নেতাদের গতকাল উত্তর বাড্ডার কারখানার ভেতর থেকে জোর করে সরিয়ে দেয় পুলিশ। শ্রমিকেরা বাধা দিতে চাইলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। নির্বিচার লাঠিপেটার শিকার আতঙ্কিত শ্রমিকেরা ভয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসছেন। এই দৃশ্য বেলা দুইটার l হাসান রাজা

প্রশাসনের চাপ ছিল। ছিল মালিকপক্ষের নানা কৌশল। এর মধ্যেই বেতন-ভাতার আন্দোলন চলছিল তোবা গ্রুপের কর্মীদের। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার অনশনের ১১তম দিনে তাঁদের ওপর চড়াও হলো পুলিশ। লাঠিপেটা ও পিপার স্প্রে (একধরনের ঝাঁজালো পদার্থ) করে শ্রমিকদের ভবন থেকে বের করে দেওয়া হলো। রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হলো।
এর মধ্যেই তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর আয়োজনে দুই মাসের বেতনও নিতে হলো তাঁদের। তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা, ঈদ বোনাস ও ওভারটাইম একসঙ্গে দেওয়ার দাবিতে ঈদের আগের দিন থেকে অনশন করছিলেন তাঁরা।
অনশনরত শ্রমিকদের পক্ষে গতকাল দুপুরে শিল্পাঞ্চলসহ দেশের সব পোশাক কারখানায় গতকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করেন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভানেত্রী ও তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু।
এরপরই তাঁকে ও শ্রমিকনেত্রী জলি তালুকদারসহ তিনজনকে আটক করে বাড্ডা থানার পুলিশ। সেখান থেকে মিশুকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মাহফুজুল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মিশুকে বিকেলে তাঁর বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রাত সোয়া নয়টায় বাড্ডা থানার ওসি বলেন, থানায় এখন আর কেউ আটক নেই। বিকেলে শ্রমিকনেতারা জানালেন, অনির্দিষ্টকালের নয়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কাল শনিবার সারা দেশে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
এর আগে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের। পুলিশকে লক্ষ করে তাঁরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। রাবার বুলেট এবং পিপার স্প্রে ব্যবহার করে জবাব দেয় পুলিশ। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। আহত হন কয়েকজন সাংবাদিকও।
এর মধ্যে গতকালও তোবার শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে বিজিএমইএ। শেষ পর্যন্ত এক হাজার ৪৭৫ জন শ্রমিক-কর্মচারী বেতন নিয়েছেন। আর বাকি ২০ জন। রোববারের মধ্যে শ্রমিকেরা তোবা গ্রুপের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জুলাই মাসের বেতন বুঝে পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।

কারখানার ভেতর থেকে গতকাল তোবা গ্রুপের পোশাককর্মীদের পুলিশ হটিয়ে দিলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা গাড়ি ভাঙচুর করেন। ছবিটি গুলশান লিংকরোড এলাকা থেকে বেলা দুইটার দিকে তোলা l প্রথম আলো
কারখানার ভেতর থেকে গতকাল তোবা গ্রুপের পোশাককর্মীদের পুলিশ হটিয়ে দিলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা গাড়ি ভাঙচুর করেন। ছবিটি গুলশান লিংকরোড এলাকা থেকে বেলা দুইটার দিকে তোলা l প্রথম আলো

এর আগে সদ্য জামিনে বেরিয়ে আসা তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠক করেন এই দুই মন্ত্রী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএর নেতারা।
শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: বেলা একটার দিকে মধ্য বাড্ডা ও উত্তর বাড্ডায় অবস্থিত কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এমন ঘোষণার পর এসব কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে আসেন। দেড়টার দিকে তাঁরা রাস্তায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের জড়ো হতে না দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেলের জবাবে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে।
সংঘর্ষ চলাকালে দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাস-মাইক্রোবাসের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন ইনডিপেনডেন্টের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রাস্তায় অবস্থান নেওয়া একজন শ্রমিক জানান, তোবায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে তাঁরা সেখানে জড়ো হয়েছেন।
শ্রমিকদের সঙ্গে যখন পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল, ঠিক তখনই দেখা যায় তোবার শ্রমিকেরা হোসেন মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসছেন। এ সময় কেউ কেউ কাঁদছিলেন। এঁদের একজন জরিনা বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমাগোরে লাঠি দিয়া পিটাইয়া জোর কইরা নামাইছে।’ আরেক শ্রমিক সুমি বেগম বলেন, ‘পুলিশ কী যেন মারছে, আমার চোখ, হাত-পা, পুরা শরিল জইল্যা যাইতেছে।’
অনশনরত শ্রমিক মো. মিরাজ জানান, কারখানা থেকে বের করতে তাঁদের ওপর ব্যাপক লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। হোসেন মার্কেটে অবস্থিত তোবার পোশাক কারখানায় তাঁরা অনশন করছিলেন। সেখান থেকে সবশেষে বেরিয়ে আসেন মোশরেফা মিশু, জলি তালুকদারসহ কয়েকজন শ্রমিক।

শ্র​মিক-পুলিশ সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাড্ডা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা আতঙ্কে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকে। মধ্যবাড্ডা থেকে বেলা দেড়টার সময় তোলা ছবি l প্রথম আলো
শ্র​মিক-পুলিশ সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাড্ডা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা আতঙ্কে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকে। মধ্যবাড্ডা থেকে বেলা দেড়টার সময় তোলা ছবি l প্রথম আলো

এ সময় মিশু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁদের ভবন থেকে বের করে দিয়েছে। ওই ওসিকে বরখাস্ত করতে হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভবন থেকে বের না হলে অনশনরত নারী শ্রমিকদের ধর্ষণ করার হুমকিও দিয়েছেন ওসি।
মিশুর সঙ্গে থাকা তোবার শ্রমিক হাফসা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। তাইলে সরকারের একজন ওসি কেমনে মহিলা শ্রমিকগো রেপ (ধর্ষণ) করার কথা কওনের সাহস পায়!’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভবনের ভেতরে আমরা কোনো শ্রমিককে পেটাইনি। তারা স্বেচ্ছায় নেমে এসেছে। পিপার স্প্রে কিংবা গরম পানি ব্যবহারের অভিযোগ সত্য নয়।’
শ্রমিকেরা তো চোখ মুছতে মুছতে বের হচ্ছিল—এ কথা বললে ওসি হাসতে হাসতে বলেন, ‘ভেতরে হয়তো অক্সিজেনের অভাব হচ্ছিল।’ নারী শ্রমিকদের ধর্ষণের হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় হোসেন মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের প্রধান ফটকের সামনের ফুটপাত রশি দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কাউকেই সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ জানায়, নিরাপত্তার জন্য প্রধান ফটকে রশি দিয়ে এ বাধা তৈরি করা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পর তোবা ফ্যাশনসের শ্রমিক মো. খোকন জানান, কারখানার ভেতরে পানির সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এ অভিযোগও অস্বীকার করে।
সাড়ে ১১টার দিকে কারখানার পেছনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার ভেতরের শ্রমিকদের খাবার ও পানি দেওয়ার জন্য আসা স্বজনদের পুলিশ সরিয়ে দিচ্ছে। বেলা সোয়া ১২টার দিকে কারখানার পেছনে থাকা সব খাবারের দোকানও বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কেন খাবারের দোকান বন্ধ করা হচ্ছে, জানতে চাইলে এক পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘শ্রমিকেরা তো অনশনে, তাদের আবার খাবার কিসের।’
শ্রমিকদের বের করে দেওয়ার পর সাংবাদিকেরা ভবনের সাত তলায় অনশনস্থলে যেতে চাইলে ওপরের নির্দেশ নেই বলে সেখানে যেতে দেয়নি পুলিশ। তবে বিকেল সোয়া চারটায় পুলিশ সাংবাদিকদের সেখানে নিয়ে যায়। ওপরে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো মেঝেতে ছড়ানো-ছিটানো আছে অনশনকারীদের বিছানা (মূলত পাতলা কম্বল)। একটি টেবিল ফ্যান মেঝেতে পড়ে আছে। ভবনের এক পাশে হালকা

ছোপ ছোপ মরচে রঙের মতো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অবশ্য ওই স্থানটি কিছুক্ষণ আগেই ধোয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ, তখনো পর্যন্ত ওই স্থানে পানি জমে ছিল।
মিশু-জলি আটক এবং ধর্মঘট ঘোষণা: হোসেন মার্কেট থেকে বের করে দেওয়ার পর অনশন পালনের জন্য শহীদ মিনারের দিকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন মোশরেফা মিশু, জলি তালুকদারসহ কয়েকজন শ্রমিক।
এরপরই পুলিশ জলি তালুকদারকে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। মিনিট পাঁচেক পর মিশুকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় ফটোসাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। কয়েকজন সাংবাদিককে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় পুলিশ।
আটকের আগে মিশু আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে গতকাল থেকেই দেশের সব পোশাক কারখানায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের তাৎক্ষণিক ঘোষণা দেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তোবা গ্রুপ শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির নেতা ও শ্রমিকেরা। সেখানে তাঁরা বলেন, আজ (গতকাল) থেকেই ধর্মঘট পালনের বিষয়টি ছিল মোশরেফা মিশুর তাৎক্ষণিক ঘোষণা। কিন্তু তাঁরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কাল শনিবার সারা দেশে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবেন।
আবার গতকাল থেকেই শহীদ মিনারে যে অনশন পালনের কথা ছিল তা-ও হয়নি। এ বিষয়ে কমিটির নেতারা বলেন, কৌশলগত কারণেই এই অনশন করা হয়নি।
বেতন নিয়েছেন ১,৪৭৫ শ্রমিক: গতকাল রাত আটটায় দেওয়া বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, তোবার পাঁচ কারখানার এক হাজার ৪৭৫ জন শ্রমিক-কর্মচারী বিজিএমইএ কার্যালয় থেকে দুই মাসের বকেয়া মজুরি নেন। এর মধ্যে বুধবার মজুরি নেন ৫৮৩ জন। তোবার ওই কারখানাগুলোতে মে মাসে এক হাজার ৪৯৫ ও জুনে এক হাজার ৪৫৮ জন শ্রমিক কাজ করেন।
অনশন চলতে থাকায় গতকাল সকালেও বিজিএমইএ কার্যালয়ে মজুরি নিতে আসা শ্রমিকদের সংখ্যা ছিল কম। প্রথম আড়াই ঘণ্টায় মাত্র ১০৯ জন শ্রমিক মজুরি নিতে আসেন। অনশনরত শ্রমিকদের পুলিশ বের করে দেওয়ার পর বেলা আড়াইটা থেকে বিজিএমইএতে আসা শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
দেলোয়ারের সঙ্গে বৈঠক: তোবার মালিক দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে গতকাল দুপুরে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠক করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক ও বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
বৈঠক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, দেলোয়ার জমি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মন্ত্রীদের জানান। তবে ওই জমি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন তিনি। ফলে জমির প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বর্তমান মূল্য অনেক কম। এ ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ারও চেষ্টা করছেন তিনি।
দেলোয়ার গত মঙ্গলবার রাতে জামিনে মুক্ত হন। তাঁর মুঠোফোন এখনো বন্ধ। মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই গোপনে তিনি সোনারগাঁও ছেড়ে যান। ফলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই বৈঠক শেষে সাড়ে পাঁচটায় বিজিএমইএ আয়োজিত সংবাদ বিফ্রিংয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাসের বেতন দেওয়ার সময় এখনো শেষ হয়নি, রোববার দেওয়া হবে। এক ঘণ্টা আগে বৈঠক করে দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেলোয়ারকে বলেছি ১০ আগস্টের মধ্যে বেতন দিবা, কোথা থেকে দিবা জানি না। প্রয়োজনে টাকা বানিয়ে আনতে হবে। তা না হলে সরকার ব্যবস্থা নেবে।’