মুদ্রা ও সিগারেট আটক

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল রোববার পৃথক ঘটনায় দেড় কেজি সোনা, বিদেশি মুদ্রা এবং আমদানি-নিষিদ্ধ সিগারেট আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
এর মধ্যে রয়েছে ৭৫ লাখ টাকার মূল্যের দেড় কেজি সোনা, ৩৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং পাঁচ লাখ টাকার সিগারেট। ১৩টি বারে ওই পরিমাণ সোনা ছিল। সোনা আনার অভিযোগে মো. জাকির এবং বিদেশি মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুশংকর মল্লিককে আটক করা হয়।
সৌদি আরব থেকে আসা জাকিরকে বেলা আড়াইটার দিকে কাস্টমস হল থেকে আটক করা হয়। তাঁর প্যান্টের ভেতর থেকে ১৩টি সোনার বার পাওয়া যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, জাকির বিমানবন্দরের টয়লেটে সোনার বারগুলো রেখে পাচারের চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে বেলা ১১টার দিকে বিমানবন্দরে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কাউন্টার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৪৫ কার্টন আদমানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ইজি এবং রুবি ব্র্যান্ডের এসব সিগারেট দুবাই থেকে আনা হয়েছিল।
মইনুল খান জানান, পাচারকারীরা নতুন কৌশল হিসেবে এখন বিমানবন্দরের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কাউন্টারে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্য ফেলে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে এগুলো বিমানবন্দরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে কুয়ালালামপুর যাচ্ছিলেন শুশংকর মল্লিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর শরীর ও ব্যাগ তল্লাশি করে ব্যাগ ও জুতার ভেতর থেকে বিভিন্ন দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। আটক এসব বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশের ৩৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।