১৭ আগস্ট বোমা হামলাকারীদের খালেদা সহায়তা করেছিলেন

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলাকারীদের পূর্ণ সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তালেবান-আল-কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠী গড়ে তুলতে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ‘দেশব্যাপী বোমা হামলা দিবস’ উপলক্ষে গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় আশরাফ এ অভিযোগ করেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, এ দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিনে সারা দেশে ৫০০ বোমা ফাটানো হয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠী জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। সেদিন শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ় সিদ্ধান্ত না নিলে এখনো বাংলাদেশে যুদ্ধ চলত। তিনি দাবি করেন, ‘সারা দেশে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে তালেবান বা আল-কায়েদা একটা সুরক্ষিত ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, তিনি তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন, আফগান, ইরাক, সিরিয়ার মতো তালেবান আল-কায়দা বা আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলতে।’
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়ার উত্থানের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরেছে অ্যান্থনি মাসকারানহাস তাঁর বইতে। ডেইলি স্টার পত্রিকা তার অংশবিশেষ প্রকাশ করেছে। লন্ডনে চ্যানেল ফোরে অ্যান্থনি মাসকারানহাস ফারুক-রশিদের এক সাক্ষাৎকার নেন। তাতে রশিদরা স্পষ্ট স্বীকার করেছে জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত। জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে আরেকটা রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা।
সৈয়দ আশরাফ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার অনেক রাজনৈতিক আলাপ হয়। তিনি একজন ভদ্রলোক মানুষ। তাঁর জন্য দুঃখ হয়, কষ্ট পাই। তিনি কিসের আসায় এত দৌড়াদৌড়ি করেন? আপনি যতই দৌড়াদৌড়ি করেন না কেন, কোনো লাভ হবে না। খালেদা ও তাঁর ছেলে আপনাকে কিছুই দেবে না। তারেক রহমান দেশে এলে সেই হবে বিএনপির মহাসচিব। এর আগে কাউকে বিএনপির মহাসচিব করা হবে না।’
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতায় না থাকলেও তাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান প্রমুখ।