'হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র থেমে নেই'

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতার অংশ। শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বরং পঁচাত্তরের চেয়ে ২০১৪ সালে ষড়যন্ত্রকারীরা আরও বেশি তত্পর। যেকোনো সময় ওরা অঘটন ঘটাতে চাইবে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরউদ্দিন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে খুন করে এ দেশ পাকিস্তানি কায়দায় পরিচালনার অপচেষ্টা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট হত্যার চেষ্টার মধ্য দিয়ে এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। ওরা নানা কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

জাকির হোসেন বলেন, সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার পর তাঁর চরিত্র নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। কিন্তু সেই অপপ্রচার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই কায়দায় অপপ্রচার হয়েছিল। আজ বঙ্গবন্ধু তাঁর আগের আসনে ফিরে এসেছেন। মানুষের হূদয়ে তিনি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর মতো ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে আছেন।
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। বুকের রক্ত তিনি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকেও ২১ আগস্ট হত্যার চেষ্টা করা হয়। ঘাতকদের চেষ্টা সেদিন পুরোপুরি সফল হয়নি। তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা দেশকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গড়ে তোলার কাজ করছেন। তাই এই প্রজন্মের তরুণদের ডিজিটাল তথা তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।