ডুবোচরে লঞ্চ আটকা ১২ ঘণ্টা পর যাত্রীদের উদ্ধার

চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় শুক্রবার রাতে প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে এমভি সাত্তার খান নামের একটি লঞ্চ আটকে পড়ে ডুবোচরে। গতকাল সকালে লঞ্চের যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রলারে করে l ছবি: প্রথম আলো
চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় শুক্রবার রাতে প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে এমভি সাত্তার খান নামের একটি লঞ্চ আটকে পড়ে ডুবোচরে। গতকাল সকালে লঞ্চের যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রলারে করে l ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীর একটি ডুবোচরে আটকা পড়ার ১২ ঘণ্টা পর একটি লঞ্চের প্রায় ৮০০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লঞ্চটি চরেই আটকা রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সদরঘাট থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এমভি ছাত্তার খান-১ নামের ওই লঞ্চ প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ১১টার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের একটি ডুবোচরে লঞ্চটি আটকা পড়ে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও ডুবোচর থেকে লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শরীয়তপুর জেলা পুলিশের মাধ্যমে আমরা শনিবার সকাল আটটায় মেঘনা নদীতে লঞ্চটি আটকে থাকার খবর পাই। হাইমচরের উত্তাল মেঘনা নদীতে সকাল নয়টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে লঞ্চটির সন্ধান পাই। পরে পুলিশ যাত্রীদের বিভিন্ন ট্রলারের মাধ্যমে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসে। একটি লঞ্চে করে ওই যাত্রীদের বেলা একটায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।’
লঞ্চে আটকে পড়া বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, বিআইডব্লিউটিএ এবং প্রশাসন তাঁদের কোনো খাদ্যসহায়তা দেয়নি। বিষয়টি স্বীকার করে গতকাল দুপুরে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দে এবং বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, যাত্রীদের তাঁরা উদ্ধার করেছেন। বিকেলের মধ্যে আরেকটি লঞ্চে করে তাঁদের পটুয়াখালী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।