পূর্বধলায় চারুকলার শিক্ষক নেই

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কোনো মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষক নেই। এর প্রভাব এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫০টি মাধ্যমিক ও তিনটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে চারু ও কারুকলা বিষয়টি আবশ্যিক করা হয়েছে। এ বছর উপজেলার সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে জেএসসি পরীক্ষায় ওই বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। কয়েকটি বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোনো মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোতে ওই বিষয়ে শিক্ষকের কোনো পদ নেই। চারু ও কারুকলা বিষয়টি আবশ্যিক হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে পাঠদান চালানো হচ্ছে। উপজেলার পাটরা দামপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী কর্ণফুলী রানী দাস ও ঘাগড়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের নওরীন আক্তার জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে ওই বিষয়ে কোনো শিক্ষক নেই। আসন্ন জেএসসি পরীক্ষার জন্য এ বিষয়ে ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারছে না। তাই ফলাফল ভালো হবে কি না, সে ব্যাপারে তারা সংশয়ে আছে।

জেএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মজিবুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার কোনো বিদ্যালয়েই ওই বিষয়ের শিক্ষক নেই। তাহলে ওই বিষয়টি শিক্ষার্থীদের আমরা পড়াব কোথায়?’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষক না থাকলে পাঠদান কী করে সম্ভব? তা ছাড়া চারু ও কারুকলা বিষয়টি তো জটিল। এ বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা না থাকলে পাঠদান অসম্ভব। এ বিষয়ে শিগগির শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া দরকার।