কঠিন আন্দোলন করে ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে

জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে এ দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তেমনি অবৈধ সরকার পতনের জন্য খালেদা জিয়া আন্দোলন-কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সেই কর্মসূচি সফল করে ভোটের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বুধবার দিনভর চট্টগ্রাম নগরের সাতটি মোড়ে গণসংযোগ ও পথসভায় ২০-দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার এবং কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পথসভায় এম কে আনোয়ার বলেন, দেশে-বিদেশে কোথাও আওয়ামী লীগের সমর্থন নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও জাতিসংঘ সমর্থন দেয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ দাবি করছে, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সমর্থন দিয়েছে তাদের। এটা জনগণের সঙ্গে তাদের মিথ্যাচার। আওয়ামী লীগ প্রতারণা করছে। তাদের এ দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।
এম কে আনোয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করে বলেন, ওই নির্বাচনে যারা জিতবে বিএনপি তা মেনে নেবে। নইলে আওয়ামী লীগকে করুণ পরিণতি মেনে নিতে হবে।
গতকাল সকালে নগরের ইপিজেড মোড় ও বড়পুল এবং দুপুরে শুভপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অলংকার মোড়, অক্সিজেন ও বহদ্দারহাটে অনুরূপ পথসভা করে ২০-দলীয় জোট। সন্ধ্যার পর নগরের সিনেমা প্ল্যাসের সামনে পথসভা হওয়ার কথা ছিল।
পথসভাগুলোতে কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সরকার গায়ের জোরে দেশ পরিচালনা করছে। দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
বিএনপির নগর কমিটির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারকে আর চায় না। এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই। ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ওরা ক্ষমতায় জোর করে টিকে আছে। কঠিন আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
পথসভাগুলোতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মুমিনুল হক চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসভাপতি শামসুল আলম ও আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
নগরের ইপিজেড মোড়, বড়পুল, শুভপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন মোড়ে সড়কের একাংশে মঞ্চ তৈরি করে পথসভা হয়। ফলে ওই এলাকাগুলোতে যানজট হয়।