সমুদ্রসীমা নিয়ে রায়ে খুশি ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা!

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) বেশির ভাগ বাংলাদেশ পেলেও এর বাইরে গভীর সমুদ্রে ভারতের কর্তৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রায় ঘোষণার প্রায় দুই মাস পর ভারতের বিশেষজ্ঞরা রায়টি বিশ্লেষণ করে এ কথা জানান। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার মেরিন শাখার সাবেক মহাপরিচালক বিজন কুমার সাহা বলেন, ইইজেডে বাংলাদেশ তাদের দাবির অনেকটাই পেয়েছে। কিন্তু এর বাইরে বাংলাদেশ বিশেষ কিছুই পায়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণে ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ আর পূর্বে মিয়ানমার থাকায় ইইজেডের বাইরে বাংলাদেশের এলাকা খুবই সংকুচিত হয়ে গেছে।’ অন্যদিকে ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে ইইজেডের বাইরে ভারত বঙ্গোপসাগরে তার কৌশলগত উপস্থিতি জানান দিতে পারবে।
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমার বাংলাদেশ ও ভারত দুই দিকেই তেল ও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ছাড়াও ইলিশ-পমফ্রেট-সার্ডিনের মতো দামি মাছ আহরণের সুযোগও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় দক্ষিণ তালপট্টি বা নিউ মুর আইল্যান্ড দ্বীপটি ভারতের দিকে পড়লেও সমুদ্রসম্পদের দিক থেকে এর আলাদা কোনো তাৎপর্য নেই বলে তাঁরা মনে করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, এখন দুই দেশই চেষ্টা করছে এই রায়ের ভিত্তিতে কীভাবে সহযোগিতার নতুন পথ খোলা যায়।
ভারত এই রায় বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের আলোকেই দেখছে, সাদা-কালোয় বিচার করছে না বলেও জানান আকবরউদ্দিন।