পাঁচটি সোনা ও একটি রৌপ্য নিয়ে ২০৮ নম্বর পেয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। আর সমান পদক নিয়ে ২০৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের মোট নম্বর ৬০। অবস্থান ৬১তম। এবার ভারত ১২২ নম্বর পেয়ে ২৯তম, শ্রীলঙ্কা ৬৫ নম্বর পেয়ে ৫৬তম, পাকিস্তান ২৫ নম্বর পেয়ে ৭৯তম স্থানে রয়েছে। গত বছর আইএমওতে বাংলাদেশ একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল।
বাংলাদেশের এবারের প্রাপ্তিতে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ দলের ফলাফল সন্তোষজনক। আশা করছি শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’ সংগঠনের সহসভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি এ ফলাফলে। আমাদের ছেলেরা অন্য দেশের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। এটা সত্যিই অনেক আনন্দের খবর। দলের সবাইকে শুভেচ্ছা।’
কলম্বিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব আলম মজুমদারও শিক্ষার্থীদের ফলাফলে খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার রৌপ্য না পেলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গড় নম্বর বেড়েছে। তবে তারা আরও ভালো করতে পারত।’
এবারের আইএমওতে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএস তাবরেজ। তিনি জানান, ধারাবাহিক এ অর্জন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অতীতের মতো ভবিষ্যতেও গণিত উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
আইএমওতে টানা নয় বছর অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একটি রৌপ্য, নয়টি ব্রোঞ্জ এবং ১৬টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশ থেকে ১৭টি গণিত উৎসবের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে এবার ওই চারজন প্রতিযোগীকে বাছাই করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।