ব্যস্ত সড়কে অবৈধ বিলবোর্ড

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তার মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল আকৃতির এই বিলবোর্ড। গত সোমবার তোলা ছবি l প্রথম আলো
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তার মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল আকৃতির এই বিলবোর্ড। গত সোমবার তোলা ছবি l প্রথম আলো

ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে একটি কোম্পানির পণ্যের প্রচারণা। বিলবোর্ডটি অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরকে না জানিয়ে রাতারাতি স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে বিলবোর্ডটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়েছেন পথচারী ও ব্যবসায়ীরা।
সওজ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও স্টেশন সড়কের চৌরাস্তাটি শহর থেকে উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র পথ। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এর মাঝখানে ট্রাফিক আইল্যান্ড নির্মাণ করা হয়। গত ৩১ মে ঢাকার নেপচুন অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড চৌরাস্তার ট্রাফিক আইল্যান্ডটি রাতারাতি ভেঙে বিশাল আকৃতির একটি বিলবোর্ড স্থাপন করে। তারপর ভাড়া দেওয়ার জন্য বিলবোর্ডের গায়ে যোগাযোগের জন্য একটি মুঠোফোন নম্বর লিখে দেয়। পরে বিলবোর্ডটি একটি বহুজাতিক কোম্পানি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া নেয়। স্থাপনের পরের দিন সওজ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোবাশ্বের আলী বিলবোর্ডটি উচ্ছেদের অনুরোধ জানিয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (সওজ) করেন। পরে তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মেয়রকে সেটির অনুলিপি দেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হলে বিলবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
চৌরাস্তার মুঠোফোন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিলবোর্ডটি স্থাপনের পর থেকে আতঙ্কে আছি। এটা কখন যে কার ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে, তা বলতে পারি না।’
নেপচুন অ্যাডভারটাইজিংয়ের জে৵ষ্ঠ উন্নয়ন কর্মকর্তা লোকমান আলী মুঠোফোনে জানান, বিলবোর্ডটি স্থাপনের জন্য পৌর মেয়রের সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে। সওজের বিষয়টি তাঁর দেখার কথা ছিল। এখন সওজের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হলে সেটি নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সচিব মজিবর রহমান জানান, বছরে প্রতি বর্গফুট বিলবোর্ডের জন্য ৫০ টাকা দরে পৌরসভার সঙ্গে বিজ্ঞাপনী সংস্থার চুক্তি হয়েছে।
অন্যদিকে, মোবাশ্বের আলী বলেন, ‘স্থাপন করা বিলবোর্ডটি অবৈধ। সওজ কর্তৃপক্ষ বিলবোর্ড স্থাপনে কোনো অনুমতি দেয়নি। আমরা বারবার চেষ্টা করেও বিলবোর্ডটি সরাতে পারছি না।’
এ বিষয়ে পৌর মেয়র এস এস এ মঈন বলেন, ‘পৌর এলাকায় বিলবোর্ড স্থাপন করতে হলে পৌরসভার সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। নিজ দায়িত্বেই বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে সওজ থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনিয়ম করে বিলবোর্ডটি স্থাপন করা হলে সওজ কর্তৃপক্ষ তা ভেঙে ফেললে আমার আপত্তি নেই।’