বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায় থাইল্যান্ড

বাংলাদেশ থেকে শিল্প, নির্মাণ ও মৎস্য খাতে কর্মী নিতে চায় থাইল্যান্ড। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে গতকাল বুধবার সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) নেতারা।
মন্ত্রণালয়ও থাইল্যান্ডে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি নিয়ে বায়রার মহাসচিব মনসুর আহমেদ কালাম ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আলী হায়দার চৌধুরী গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যান। তাঁরা ৪ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব জিরাসুক সুগানধজ্যোতি এবং আন্তর্জাতিক শ্রমিক নিয়োগকারী ব্যুরোর পরিচালক কমল সাওয়াচুকুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের এই সফরে ব্যাংকক বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহ দেখায়। ৭ সেপ্টেম্বর বায়রার কর্মকর্তারা দেশে ফেরেন।
আলী হায়দার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে থাইল্যান্ড বলেছে তারা এখন দেশটিতে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা নিরূপণ ও নিবন্ধন করছে। অক্টোবরে এই কাজ শেষ হবে। এর পরই ব্যাংকক বলতে পারবে তাদের কত শ্রমিক লাগবে। তবে তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম থেকে শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বায়রার সভাপতি আবুল বাসার ও মহাসচিব মনসুর আহমেদ কালাম গতকাল প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা এ সময় থাই সরকারের দেওয়া শুভেচ্ছা স্মারক মন্ত্রীকে পৌঁছে দেন এবং সফরের বিস্তারিত জানান। এ সময় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে মনসুর আহমেদ কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘থাইল্যান্ড যে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায় সেটি আমরা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন হবে অন্তত ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া থাইল্যান্ড শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা আশা করছি, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের একটা সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হয়ে উঠবে।’
বায়রা সূত্র জানায়, বছর দুয়েক আগেও থাইল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মৎস্যজীবী নিতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারিভাবে না কি বেসরকারিভাবে তারা যাবে সেই দ্বন্দ্বে বিষয়টি আর এগোয়নি।