রেললাইন ঘেঁষে বাড়িঘর ইট-খোয়ার বাজার

দাসপুকুরে রেললাইনে খোয়া-বালুর ব্যবসার এ দৃশ্য গতকাল নেওয়া। রেলঘেঁষে দুপাশে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর l প্রথম আলো
দাসপুকুরে রেললাইনে খোয়া-বালুর ব্যবসার এ দৃশ্য গতকাল নেওয়া। রেলঘেঁষে দুপাশে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর l প্রথম আলো

রাজশাহী নগরের দাসপুকুর এলাকায় রেললাইন ঘেঁষে দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর। খানিকটা ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে রেললাইনের ওপরেই চলছে ইট-খোয়ার বাজার। অতীতে এসব জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণ করেনি।

দাসপুকুর এলাকায় রেললাইন ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ইট-খোয়ার ব্যবসা। আর দুই ধার দিয়ে প্রায় ৫০০ বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও ব্যবসায়ীরা এই জায়গা ছাড়েননি। কোনো বাড়িঘরও উঠে যায়নি।

দাসপুকুর এলাকায় গতকাল শনিবার গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের ধার ঘেঁষে ইট ভাঙা হচ্ছে। ইটের খোয়া স্তূপ করে রাখা হয়েছে রেললাইন ঘেঁষেই। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, মফিজ উদ্দিন নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী এখানে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করছেন। সেখানে যে শ্রমিকেরা কাজ করছেন, তাঁদের একজনের নাম আকিমুদ্দিন (৫০)। তিনি বলেন, তাঁরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে এই কাজ করছেন। প্রতিদিন খোয়া ভাঙার কাজ করে ৩০০ টাকা মজুরি পান।

লাইন ঘেঁষে তিনটি দোকানঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম। সেখানে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীরা বাজার গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, প্রতিটি দোকান থেকে আমিরুল প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করেন।

রেলওয়ের জমি দখল করে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি করে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন আবিদ হাসান। তাঁর বয়স প্রায় ৩০ বছর। তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই তাঁরা এখানে রয়েছেন। তাঁদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে এখানে বাড়ি করে আছেন। তিনি বলেন, রেলের লোকজন এসে মাঝেমধ্যে ভেঙে দিয়ে যান। যাওয়ার জায়গা না থাকায় আবার তাঁরা ঘর তোলেন।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখন কাজ করছি। অবিলম্বে এই জায়গা দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’